সিদ্ধিরগঞ্জে দুই কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধী চক্রের মধ্যে ‘পুরোনো বিরোধের জের ধরে’ অপর এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ (চার) জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, গত শুক্রবার রাতেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গতকাল শনিবার সকালে নিহতের বাবা গ্রেপ্তার চার জনসহ ৫ (পঁাচ) জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে আরোও সাত থেকে ৮ (আট) জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন বলেও জানান ইন্সপেক্টর মিজানুর।
ছুরিকাঘাতে নিহত আব্দুল্লাহ খান রায়হান ওরফে পায়েল ((১৬) গোদনাইল ধনকুণ্ডা এলাকার মো. শামীমের পুত্র। শামীমের তিন সন্তানের মধ্যে ছোট রায়হান বাবার সঙ্গে ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপে আব্দুল্লাহ খঁান রায়হান ওরফে পায়েল (১৬) এসি সার্ভিসিং এর কাজ শিখতো।আব্দুল্লাহ খঁান রায়হান ওরফে পায়েল হত্যাকান্ডে গ্রেফতারকুতরা হলো : সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াপাড়ার আব্দুস সামাদের ছেলে মো. হৃদয় (৩০), একই এলাকার মো. ফারুকের ছেলে মো. সাব্বির (১৮), দক্ষিণ কদমতলী নাভানা সিটি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. জাহিদ (১৮) এবং নোয়াখালীর মাইজদীর মনির হোসেনের ছেলে আল আমিন (২০)।নিহত আব্দুল্লাহ খঁান রায়হান ওরফে পায়েলের বাবা শামীম ও পুলিশ জানায়, পুরোনো দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মারামারির ঘটনা ঘটলে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে রায়হান গুরুতর জখম হন। এমন সংবাদে স্বজন, বন্ধু ও রায়হানের বাবা শামীম প্রথমে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসক রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন।এমন ঘটনায় পুলিশ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান জানান, কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে পুরোনো বিরোধের জেরে হাতাহাতির সময় ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মারা যায় রায়হান। এ ঘটনায় পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালিয়ে ৪ (চার) জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।