জুম্মন সোহেল: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া আলোচনা সভা ও ঈদ সামগ্রীর বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ মে) বাদ জুম্মা জালকুড়ি ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সকাল থেকে গাড়ি বহরে নেতাকর্মীদের নিয়ে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শিপলু এবং ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, ৪৪ বছর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাদাত বরণ করেন। তার শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আপনাদের দাওয়াত করেছি এবং তবারক হিসেবে ঈদ সামগ্রী এনেছি। তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনা বন্ধি করে রেখেছিল। আমরা বলেছিলাম তাকে চিকিৎসারর জন্য বাহিরে যেতে দেন কিন্তু দেন নাই। কি নিষ্ঠুর ছিল শেখ হাসিনার সরকার। আমাদের অনেক নেতা কর্মীকে মেরেছে। অনেককে ঘুম খুন করেছে। কিন্তু আমরা পালিয়ে যাই নাই। এক দিকে গুলি করেছে অপর দিকে আবার রাস্তায় নেমেছি। তারা আজ পালিয়ে গেছে চোরের মত। চোর কিন্তু গিরস্তকে ভয় পায়। সেই চোর শেখ হাসিনা। আপনাদের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। শেখ হাসিনা ভূয়া প্রধান মন্ত্রী ছিলেন। শেখ হাসিনা যেমন চোর ছিল তেমনি তার এমপি, মন্ত্রীরা চুরি করেছে। এবং তার পালিয়ে যাওয়া নেতা-কর্মীরাও পালিয়ে গেছে।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আরোও বলেন, জুলাই বিপ্লবে তারা যে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া চালিয়েছে মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে সেই অস্ত্র কোথায় গেল। সেগুলা বের করতে হবে। বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নের নামে যে বাজেট করেছে সেখানে এক কোটি টাকা বাজেট করে ১০লাখ খরচের রাস্তা করেছে বাকি ৯০ লক্ষ টাকা তাদের পকেটে ঢুকিয়েছে । বিদেশে বাড়ি, গাড়ি, হোটেল করেছে একটা মন্ত্রীর ৪শ টি বাড়ি বিদেশে কেনো থাকবে। সবকিছুর জন্য দায়ী হাসিনা। মানুষের ভাগ্য চুরি করেছে। জনগণকে জিম্মি করে সিন্ডিকেট মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিত। তাই শেখ হাসিনার বিচার হলে ভবিষ্যৎতে কোন রাজনৈতিক দল এমন করতে সাহস পাবেনা। তাকে সহ সকল চোরকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে এনে বিচার করতে হবে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মামুন মাহমুদ আরও বলেছেন, মানুষের ভাগ্য যদি নেতার পকেটে ঢুবে সেটাকে কি নেতাগিড়ি বলে। আপনারা দেখবেন কোন নেতার বাড়িতে নতুন বিল্ডিং বাড়ি তৈয়রী করছে। আপনারা ইট খুলে নিয়ে যাবেন। আমার সাথে রাজনীতি করতে হলে আগে জনগণের ভাগ্যের কথা মনে রাখতে হবে। তাদের প্রতিনিয়তই খবর রাকতে হবে। যদি না করে লুটপাট করার চান্তা থাকে তা হলে অন্য দিকে দেখেন তাদের কাছে দরজা খোলা রয়েছে। মনে রাখবেন আবার জেলও খাটতে হবে। এক সময় আমাদের রান্না করা খাবার লুট করে নিয়ে গেছে কই আজ সেই বীরপুরুষ আজ পালিয়ে গিয়েছে। জনগণই সকল উৎসের মালিক এটাকে আপনাদের মনে রাখতে হবে। যদি বীরপুরুষ মনেকরেন তাহলে আমার সাথে রাজনীতি করার দরকার নেই।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য উকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, রিয়াজ ইসলাম রিয়াজ, শাহিন প্রধান, নূর আলামীন দেওয়ান, রাজু আহম্মেদ, আলামীন প্রধান ও জাকির হোসেন সহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনে নেতৃবৃন্দ।
এ সময় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও বেগম খালেদা জিয়া সহ জিয়া পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।
এদিন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এছাড়াও বেশ কিছু স্থানে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন যার মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ৩ নং ওয়ার্ড, উত্তর রসূলবাগ জামে মসজিদ সংলগ্ন বালুর মাঠ, মাদানী নগর, সানারপাড় ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ২ নং ওয়ার্ড কান্দাপাড়া এলাকাগুলাতে তিনি উপস্থিত ছিলেন।