বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির বৃহত অংশের উদ্যোগে আলোচনা সভা মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
সোমবার (২ জুন) নগরীর ডিআইটস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসায় এ আয়োজন করা হয়।
মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টুর সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মদ মাঈনউদ্দিন আহম্মেদ,
মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি বদুউজ্জামান বদু, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় আতাউর রহমান মুকুল বলেন, শেখ মুজিব যদি বঙ্গবন্ধু হতে তাহলে যোদ্ধের সময় দেশের মানুষকে ফেলে পালিয়ে যেতো না। আর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে চুপ করে বসে থাকেননি, রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। যদি দেশ স্বাধীন না হতো তাহলে জিয়াউর রহমানকে দেশদ্রোহীর অপরাধে পাকিস্তান তাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করতো।
তাছাড়া আওয়ামীলীগের কয়জন নেতা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছে তা আমি আঙ্গুল গুনে বলে দিতে পারবো। ১৭ বছর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থেকে নিজেদের দাম্ভিকতা দেখিয়ে বলতো আমাদের কখনই ক্ষমতাচুত্য করা যাবে না। আল্লাহ ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না।
তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের নেতৃত্ব নেয়ার পর কৃষি বিপ্লব, ব্যাসায়িক বিপ্লব ঘটিয়ে ছিলেন। তার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি আন্র্Íজাতিক নেতায় পরিনত হয়েছিলেন। এই জিয়াউর রহমানের কারনেই আওয়ামীলীগ জীবন ফিরে পেয়ে ছিলো। কারন তিনি বহুদলীয় গনন্ত্রের প্রবক্তা।
সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি বিদেশিদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। হোসিয়ারী সমিতি দখল করে রেখেছে ওকে। আমরা সবাই মিলে হেটে গেলে একজনও থাকবে না।
মাওলানা মুহাম্মদ মাঈনউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, শহীদ যারা তারা বিনা হিসেবে জান্নাতি। জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন বহুদলীয় গনন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দেশের দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন দল থেকে সত ও নিষ্ঠাবান লোকদের নিয়ে দেশের কল্যায়নে কাজ করেছেন। আপনারা জিয়াউর রহমানকে ভালবাসবেন আবার লুটপাট, চাঁদাবাজী করবেন এটা কখনই করা যাবে না। কারন তার ন্যায় নীতি আর্দশের কারনে দেশের মানুষ তাকে ভালবাসতেন। আর কোন অন্যায়কে তিনি প্রশ্রয় দিতে না।
বক্তব্য শেষে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা মাইনউদ্দিন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি নেতা হাজী তাহের আলী, সুজন মাহমুদ, শফিউদ্দিন সোহেল, শহীদ হাসান, হাজী আলম চাঁন, হাজী গোলাম মোস্তফা খোকা, মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।