নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ।
জানা গেছে, গত ১ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ চাঁদাবাজির দুই মামলায় তাকে জামিন দেন।
এর আগে, গত ১৩ মে ফতুল্লার ডাইং ব্যাবসায়ী আজাদকে কারখানা পোড়ানোর হুমকি দেয়ার একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া এই রেকর্ডের রেশ ধরে গত ১৫ মে সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এরপর দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য তাকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে ওই অডিও রেকর্ডের ফোনালাপে হওয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যবসায়ী আজাদ ঘটনাটিকে পারিবারিক বলে জানান। এ ঘটনায় তিনি কোন অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকৃতি জানালে ফতুল্লা থানার এসআই শামীম বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সেদিন সন্ধ্যায় তাকে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ১৮ মে ড্রেজার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
বহিস্কৃত রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।