মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, কাশিপুর ৩নং ওয়ার্ড ও অঙ্গ সংগঠনের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ( ৪ জুন ) সকাল ১০ টায় কাশীপুর মধ্য নরসিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রঙ্গণে এ দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সদস্য মোঃ নূর আলম সিদ্দিকী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিভাবে এবং কিভাবে পরিচালিত হয়েছে, নিরস্ত্র মানুষ কি ভাবে রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে। তা পরের প্রজন্মকেও জানতে হবে। তৎকালীন যারা রাজনীতিতে ছিলেন আওয়ামীলীগ হল অন্যতম এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ মুজিব। কিন্তু সেই সময় শেখ মুজিব সাধারণ জনগণের হাতে একটা লাঠিও তুলে দেয়নি। যখন জনগণের উপর হামলা চালায় পাকিস্তানী বাহিনী সেই সময় শেখ মুজিবুর পাকিস্তানকে বলেছে আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাও। সেই সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করায় বাংলার মানুষ হতাশ হয়ে যায়। ঠিক সেই সময় মেজর জিয়াউর রহমান আল্লাহর রহমতে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এবং পাকিস্তানীর বিরুদ্ধে রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছে। পালিয়ে থাকা ভারত থেকে পাকিস্তান থেকে এসে আওয়ামীলীগের অনেকেই তখন মুক্তিযোদ্ধা সনদ পায়। তখনই শেখ মুজিব ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসে। ৭৫ এর পরে আওয়ামীলীগের কাউকে খুজে পাওয়া যায় নাই। সেই ভোট চোরের মেয়ে খুনি শেখ হাসিনা আজ নেই। তাদের দোসরও নেই। মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার নাম মুছে ফেলার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু পারে নাই।
তিনি আরোও বলেন, আওয়ামীলীগের মূলত প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ভাসানী। তার সাথে বেইমানি করে এ দলকে শেখ মুজিব নিজের করে নেয়। কুকুর মানুষকে কামড় দিলে জলাতঙ্ক রোগ হয় পানি দেখলেই ভয় পায়। ঠিক তেমনই শেখ হাসিনা জনগণের ভোটকে ভয় পেত। খালেদা জিয়ার দাবী জনগণের দাবি। সেই দাবিকে লক্ষ্য করে তারেক রহমানের নির্দেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন হয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন জিনিসটা কি শেখ হাসিনা বুঝে না। তার পরিবারের মধ্যেই ৪২ জন এমপি মন্ত্রী হয়েছেন। কই জিয়া পরিবারের কেউ কি এমপি মন্ত্রী হয়েছে। অথচ হাসিনার কামলা মুনিরাও এমপি হয়েছে। হয়েছে ৪শ কোটি টাকার মালিক। জিয়াউর রহমান এই কাশিপুর এসেও খাল খনন করে গেছেন। সে মানুষের কথা চিন্তা করেছে বলে আজ জিয়ার পরিবার কিছুই করেন নাই। খুনি হাসিনার বিচার করতে হবে কালক্ষেপণ করে কোন লাভ নেই। আপনারা জাতির সামনে নির্বাচনের রোড ম্যাপ দিন। তারেক রহমান ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছেন আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমরা আওয়ামীলীগের কারোর বাড়িতে হামলা করি নাই। সাধারণ মানুষ তাদের প্রতি এতোই ক্ষোভ ছিল তা প্রকাশ পেয়েছে। শেখ মুজিব রক্ষী বাহিনী দিয়ে যেমন দেশকে ধ্বংস করার পায়তারা করেছে। ঠিক তেমনই হাসিনা পুলিশ বাহিনী দিয়ে ধ্বংস করেছে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন শেখ হাসিনা একদিন ভারতে পালাবে। আজ তার কথা সত্য হলো। হাসিনা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে ৪৫ মিনিট সময় পেয়েছে পালানোর জন্য। ভারত আমাদের বন্ধু না তারা বন্ধু মনে করে না আমাদের।
যুবদল নেতা সোহেব আক্তার সোহাগ, মাশুক চৌধূরী ও আরিফ হোসেন এর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে আরোও উপস্থিত ছিলেন, নাঃগঞ্জ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি সদস্য একরামুল কবির মামুন, নাদিম হাসান মিঠু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভাপতি কবির প্রধান, আলা উদ্দিন খন্দকার শিপন, সরকারি তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান চৌধুরী,দপ্তর সম্পাদক মুক্তার হোসেন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক আজহার উদ্দিন সহ কাশিপুর ইউনিয়ন ও ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গসংগঠন নেতৃবৃন্দ।