স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন আলোচিত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ খান-এর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) হিসেবে বদলির পেছনে ২০ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিক নাজমুস সাকিব তাঁর অনুসন্ধানে প্রকাশ করেছেন, যেখানে এই বদলিকে “লুটপাটের পথ উন্মুক্ত করার ষড়যন্ত্র” হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক সাকিবের দাবি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি প্রভাবশালী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আবদুল লতিফ খানকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে বদলি করানোর জন্য ২০ কোটি টাকার ঘুষ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের লক্ষ্য ছিল গাজীপুরে অধিক লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি করা।
ঘুষ লেনদেনের মধ্যস্থতায় ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মাহফুজুল আলম ভূঁইয়া। অভিযোগ অনুযায়ী, শুরুতে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করা হলেও, পরবর্তীতে দাবি বাড়িয়ে ২০ কোটিতে পৌঁছায়।
বদলির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরপরই, ঘুষ প্রদানের জন্য যিনি অর্থ বিনিয়োগে সম্মত হয়েছিলেন, তার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। এতে কিছুটা বিলম্ব ঘটে অর্থ পরিশোধে। সেই সময় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠরা হুমকি দেন যে, টাকা না পেলে বদলির আদেশ বাতিল করে দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কেননা আবদুল লতিফ খান এখনো ওই পদে বহাল আছেন।
চার মাস পেরিয়ে গেলেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বা স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু হয়নি। সাংবাদিক নাজমুস সাকিব তাঁর প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, বর্তমান সরকারের আমলে এই দুর্নীতির তদন্ত হওয়া সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তনের পর এই ২০ কোটি টাকার হিসাব ও সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সূত্র: সাংবাদিক নাজমুস সাকিব, হেড অব নিউজ – নাগরিক টিভি