নারায়ণগঞ্জের বৃহত্তর পোশাক প্রস্তুতকারক মার্কেট হাকিম প্লাজার ৩য় তলায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ‘ইফাদ ফ্যাশন’ শোরুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
বুধবার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দেওভোগ এলাকার হাকিম প্লাজার ৩য় তলায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
হাকিম প্লাজার প্রত্যক্ষদর্শী ও বৃহত্তর দেওভোগ পোশাক প্রস্তুতকারক মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন মাহমুদ জানান, “ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আমাদের মার্কেট বন্ধ থাকে। রমজানে ব্যবসা মন্দা ছিল, এই ঈদেও একই অবস্থা। ফলে বেশিরভাগ মালামাল দোকানে রয়ে গেছে। গতকাল ইফাদ ফ্যাশন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে আজ খুলে দেওয়ার কথা ছিল। ঈদের পর বাজারে ক্রেতা শূন্যতায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। হঠাৎ ধোঁয়া ও আগুনের কুণ্ডলী দেখা দিলে আমরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, মুহূর্তেই আগুনে ইফাদ ফ্যাশনের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় ঘনবসতিপূর্ণ এই মার্কেট বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। আমাদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত।”
ইফাদ ফ্যাশনের কর্ণধার ইয়াসিন আরাফাত জানান, “আমি পবিত্র হজ পালন করতে গিয়েছিলাম। ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ি। হঠাৎ খবর পেলাম আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লেগেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগতে পারে বলে আমার ধারণা। ব্যবসায় মন্দার কারণে তেমন কিছু বিক্রি হয়নি। প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার প্রস্তুত পোশাক সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হবে। কিছুই রক্ষা করা যায়নি।”
এস ইসলাম ফ্যাশনের কর্ণধার জানান, “একই সময় বৈদ্যুতিক মূল খুঁটিতে থাকা ট্রান্সফরমার থেকে একটি বিকট শব্দ হয়। সেই শব্দের পরপরই আমার দোকানের আইপিএস নষ্ট হয়ে যায়। এর মধ্যেই দেখি ইফাদ ফ্যাশনে আগুন লেগেছে। এর আগেও আরেকটি ট্রান্সফরমারে বিকট শব্দ হয়েছিল।”
নারায়ণগঞ্জ সদর মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (এসএসও) শাহজাহান জানান, “হাকিম প্লাজার ৬তলা ভবনের ৩য় তলায় ‘ইফাদ ফ্যাশন’ মিনি গার্মেন্টসে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা। আমাদের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট একযোগে কাজ করায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো হবে।”