নারায়ণগঞ্জের সজল হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই দিনে আদালতে ফতুল্লার সাঈদ হত্যা প্রচেষ্টা মামলায়ও আইভীকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।
তবে ওই মামলায় রিমান্ডের আবেদন না করে আদালতের কাছে জামিন চাওয়া হয়। উভয় মামলার শুনানি শেষে সজল হত্যা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর করা হলেও সাঈদ হত্যা মামলায় জামিন প্রসঙ্গে চূড়ান্ত আদেশ হয়নি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, “সজল হত্যাকাণ্ডের সময় আইভী সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে দায়ী। আমরা আশাবাদী, রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।”
অন্যদিকে, আইভীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন দাবি করেন, “দুটি মামলার এজাহারেই আইভীর নাম নেই। সেখানে তার কোনো সম্পৃক্ততার কিংবা অভিযোগের ধারা উল্লেখ করা হয়নি। তবুও তাকে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
গত ৯ মে, পশ্চিম দেওভোগে নিজ বাড়ি থেকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইভীর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে এবং ফতুল্লা থানায় রয়েছে আরও একটি মামলা। এর মধ্যে তিনটি হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত।