মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। টানা সাত দিনের পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষই সামরিক ও কৌশলগত দিক থেকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েল ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানছে, অপরদিকে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।
এ প্রেক্ষাপটে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে রক্ষা করতে একটি প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দ্য ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন বলেছেন, “ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক দৃঢ়। আমরা ইরানকে প্রস্তাব দিয়েছি—তারা চাইলে রাশিয়া তাদের পরমাণু প্রকল্পের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করতে পারে। ইউরেনিয়ামের ব্যবহার যেন শুধু শান্তিপূর্ণ হয়, সেদিকেও আমরা নজর দিতে আগ্রহী। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে ইরানের সম্মতির ওপর।”
পুতিন আরও জানান, বুশেহার শহরে দুটি পারমাণবিক ইউনিট নির্মাণ করছে রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা। এই প্রকল্প নিয়ে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। নেতানিয়াহু আশ্বস্ত করেছেন যে বুশেহার এলাকার ওপর কোনো সামরিক হামলা চালানো হবে না।
রাশিয়া কি ইরানকে অস্ত্র দেবে—এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, “রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে জানুয়ারিতে একটি সমঝোতা হয়। তবে সে চুক্তিতে অস্ত্র সরবরাহের বিষয় অন্তর্ভুক্ত নয়। তাছাড়া ইরান আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্রও চায়নি।”
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইরানের নিরাপত্তা এবং ইসরায়েলের উদ্বেগ—উভয় দিক বিবেচনায় নিয়েই সমাধানের পথ খুঁজে বের করা দরকার। এমন একটা পথ, যাতে ইরান শান্তিপূর্ণভাবে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে পারে, আর ইসরায়েলও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পায়।”
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস