বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার গল টেস্ট রোমাঞ্চের ইঙ্গিত দিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছে। ৩৭ ওভারে ২৯৬ রানের ‘অসম্ভব’ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা শুরুতেই চাপে পড়লেও বাংলাদেশ সময়ের ঘাটতিতে ১০ উইকেট তুলে নিতে পারেনি। বিদায়ী টেস্টে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ক্যারিয়ার শেষ হলো ফলাফলহীন এক ম্যাচ দিয়ে।
দিনের শেষে শ্রীলঙ্কা ৩২ ওভারে ৪ উইকেটে ৭২ রান তুললে দুই দল ম্যাচ ড্র মেনে নেয়। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দুই ইনিংসেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ১৯৯ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসটিতে প্রথমে ধৈর্য, পরে আক্রমণ—দুই মেজাজেই ছিলেন শান্ত।
প্রথম ইনিংসেও ১৪৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন তিনি। শান্তর এই পারফরম্যান্স তাকে টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশের অন্যতম সফল ইনিংস ডাবল হিসেবে উল্লেখযোগ্য করে তুলেছে।
ম্যাচের শেষ দিনে মুশফিক ও শান্ত ব্যাট করছিলেন সতর্কতায়। তবে ৭৬তম ওভারে বাংলাদেশের রান যখন ৪ উইকেটে ২৩৭, তখন নামে বৃষ্টি। প্রায় তিন ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। এরপর বাংলাদেশ দ্রুত রান তুলে লিড তিনশ’র কাছাকাছি নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে।
শেষ ইনিংসে লঙ্কানরা মাত্র ৪৮ রানেই হারায় ৪ উইকেট।
তাইজুল ইসলাম: ২৩ রানে ৩ উইকেট
নাঈম হাসান: ২৯ রানে ১ উইকেট
তবে অধিনায়ক শান্ত আশ্চর্যজনকভাবে তরুণ পেসার নাহিদ রানাকে বল হাতে আনেননি, যদিও হাসান মাহমুদ কিছু ওভার বল করেন।
টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস করেন ৮ রান। তাকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন মুমিনুল হক সিলি পয়েন্টে।
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রায় ১২ বছর পর কোনো টেস্ট ম্যাচ ড্র হলো। এর আগে ২০১৩ সালে এই মাঠেই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ ড্র হয়েছিল। মাঝের ২৬টি টেস্টে সব কটিতেই ফলাফল নির্ধারিত হয়েছিল।
এই ম্যাচ ছিল ২০২৫-২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের প্রথম লড়াই। ড্রয়ের ফলে দুই দলই ৪ পয়েন্ট করে ভাগ করে নেয়। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ শুরু হবে ২৬ জুন, কলম্বোতে।