নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় মামুন হত্যার ঘটনায় এস আই শামীম কর্তৃক ট্রাক ড্রাইভার জুয়েলকে ফাঁসিয়ে নির্যাতন ও ইলেকট্রিক শক দেওয়ার প্রতিবাদে ও এস.আই শামীমের প্রত্যাহার ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে মানব্বন্ধন করা হয়েছে।
রবিবার ( ২২ জুন ) সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রঙ্গণে ট্রাক ড্রাইভার ও শ্রমিকবৃন্দ সহ ভূক্তভোগী জুয়েল এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে একজন বলেন, সে যেকোন রাজনিতী বিদ হতে পারে। কিন্তু রাজনিতীরর অন্তরালে অসহায় মানুষের সাথে যেন অত্যাচার জুলুম না করে। তাদের ক্ষমতা আছে বলে নিরহ মানুষদেরকে হত্যা মামলা চাপিয়ে দেবে সেটা কোন সমাজ মেনে নিবেনা। আমরা সরকারের কাছে বলতে চাই আমাদের ড্রাইভার জুয়েলেরর প্রতি যে অবিচার হচ্ছে তা যেন প্রশাসন সুদৃষ্টি দেয় সে প্রত্যাশা করছি। এবং যারা প্রকৃত অর্থে দূষী তাদের বিচার চাই।
মানবন্ধনে ভূক্তভূগী ড্রাইভার জুয়েল বলেন, এস.আই শামীমের সাথে আমার কি শত্রুতা। সে একটি পক্ষ হয়ে আমাকে ধরে নিয়ে এসে আমাকে বেধড়ক মারধর করে।
এসআই শামীম বলেন ৫ তারিখের আগে হলে তকে গুলি করে মেরে ফেলতাম। তার এহেন কথায় মনে হয় সে আওয়ামীলীগের দোসর। সে আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে খারাপ কলা বলে মারধর করে। এবং আমাকে রিমান্ডে না নিয়ে পুলিশ হেফাজতে অনেক মারধর করে। এছাড়া আমাকে গোপনাঙ্গে শক দিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ানোর চেষ্টা করে এস আই শামীম। তার নির্যাতন বর্ণনা করার মত না। আমরা ট্রক শ্রমিক এর পক্ষ থেকে ন্যয় বিচার চাই।
তিনি আরোও বলেন, নিরিহ মানুষকে ধরে নিয়ে নির্যাতণ করে। যারা টাকা দিতে পারে না তাদের কোন খাবার দেওয়া হয় না। অনেকেই আছেন মারধরের হাত থেকে বাচতে আপসে টাকা দিতে বাধ্য হয়। এবং যারা টাকা দেয় তাদেরকে বিরিয়ানি খাখয়ান এস আই শামীম। স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুন হত্যায় ঘটনা আমি কিছুই জানিনা। আমরা শ্রমিক তাই বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। আলাউদ্দিন হাজীর বাড়িতে গিয়েছিলাম কাজ করতে সেখানেই আমাকে মারধর করে। আমার গোপনাঙ্গে ইলেকট্রিক শক এবং মুখে মরিচের গুড়া দিয়েছে। সেই সময় রমজান মাস ছিল আমাকে রোজাও রাখতে দেয়নাই এস আই শামীম। পরে আমি পানি খেয়ে রোজা রেখেছি। রোজারত অবস্তায় আমাকে মারধর করেছে এবং আদালতে নিয়ে আসলে আমার স্বজনদের সাথেও দেখা করতে দেওয়া হয় নাই। সেই সময় মারধর করে আমাকে এস আই শামীম বলে, ‘আদালতে আক্তার-সুমনের নাম না বললে আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে বলে হুমকি দেয়।’ এর বিচার চাই এবং এস.আই শামীমের প্রত্যাহার ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
এ সময় মানববন্ধনে ট্রাক ড্রাইভারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ দেলোয়ার, রাব্বি, মুখলেস, জসিম, সুমন, মনির,হেল্পার মোঃ সাগর, হৃদয়, আলামিন সহ অন্যআন্য ড্রাইভার ও হেলপার শ্রমিকবৃন্দরা।
জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ফতুল্লায় রেললাইনের ওপর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন হোসাইনকে (৪০) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার একদিন পর নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় মো. জুয়েলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।