নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মাদক কারবারিদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার ইসলামী আন্দোলনের নেতা ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবিএম সিরাজুল মামুন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তিনি ইসলামী আন্দোলন নেতা মামুনের আমিরাবাদস্থ বাসভবনে আহত নেতাকে দেখতে যান। এ সময় তার সঙ্গে খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন: মহানগর সভাপতি হাফেজ কবির হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ, ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল,জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক শরীফ মিয়াজী,বন্দর থানা পশ্চিম শাখার সভাপতি মাওলানা ফরিদুজ্জামান, মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
“মাদক কারবারিদের বেপরোয়া আধিপত্যের বহিঃপ্রকাশ” এবিএম সিরাজুল মামুন বলেন, “এই কাপুরুষোচিত হামলায় ডা. মামুন গুরুতর আহত হয়েছেন। এটি নিছক একটি ব্যক্তি হামলা নয়, বরং সমাজে মাদক কারবারিদের বেপরোয়া আধিপত্য এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির ইঙ্গিত।”
তিনি অভিযোগ করেন, হামলার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও কোনো সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়নি, যা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার দৃষ্টান্ত। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং বন্দরের ২৪নং ওয়ার্ডসহ সারাদেশে মাদকবিরোধী কঠোর অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
গত ২ জুলাই (বুধবার) রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের আমিরাবাদ এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর বন্দর থানা উত্তরের সভাপতি ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী ভিকি, ইমন, সুজন, নাজিমসহ আরও কয়েকজন তার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত ডা. মামুন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।