নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাজির হন। শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে দলের আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বললেন, দেশের চলমান মাফিয়া ও পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে নতুন গণ-আন্দোলনের যাত্রা শুরু হবে নারায়ণগঞ্জ থেকে।
বিকেল পৌনে ৫টায় নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। এর আগে বিকেল ৩টায় দলের শীর্ষ নেতারা সেখানে সমবেত হন। মো. নাহিদ ইসলাম তার ভাষণে দেশের শাসনব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পরে রাষ্ট্রের পুরো কাঠামো বদলাতে হবে।”
নারায়ণগঞ্জকে দেশের মাফিয়া ও পরিবারতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেন, “এখানে দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি পরিবার দখলদারী, চাঁদাবাজি, গুম ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে শাসন চালিয়েছে। এ ধরণের মাফিয়া রাজনীতি আর আমরা সহ্য করব না।” তিনি বলেন, “এ কারণে খেলার নিয়ম বদলাতে হবে।”
তবে নাহিদ ইসলাম স্বীকার করেন যে এখনো পুরোপুরি পরিবর্তন হয়নি। তিনি ঘোষণা দেন, “নারায়ণগঞ্জে এই খেলা এখনও চলছে। সেটি বন্ধ করার জন্য নতুন গণ-আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।”
গত বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জে ‘জুলাই পদযাত্রা’র প্রবেশপথের তোরণ পুড়িয়ে দেওয়া হয়, যা সন্ত্রাসীদের হুমকি বলে তিনি উল্লেখ করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের মানুষ তাদের রক্ত দিয়েই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। তাদের ঐক্যের ফলে ঢাকার মানুষ রাস্তায় নামতে পেরেছিল। তাই নারায়ণগঞ্জের নাম গণ-আন্দোলনের ইতিহাসে উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা থাকবে।”
পদযাত্রায় এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ছিলেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, এবং মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী সহ অন্যান্যরা।