নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেছেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ এখনও কার্যকর করা সম্ভব হয়নি বলেই রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটছে এবং গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার মতো ঘটনা ঘটছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে’ আয়োজিত সমাবেশ ও শহীদি মার্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকী বলেন, “অভ্যুত্থানের পরও আমরা দেখছি কিছু গোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সম্পদ আহরণ করছে, লুটপাট করছে। কিন্তু জুলাইয়ের বার্তা খুবই পরিষ্কার—এ দেশ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামের দেশ। এই রাষ্ট্রে ক্ষমতা ও সম্পদের দখলদারিত্বের যে অন্যায় ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, তা বদলাতে হবে। আর সেই বদল আনতে হলে ‘নতুন বন্দোবস্ত’ প্রয়োজন। নতুন বন্দোবস্ত বলতে আমরা সংস্কারের কথা বলেছি, আর সেই সংস্কার জনগণের সম্মতিতেই হতে হবে।”
তিনি বলেন, “আজকের এই হামলা-সহিংসতার পেছনে বহিঃশক্তির ইন্ধনে ফ্যাসিস্ট সরকার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আমাদের সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি।”
গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সমন্বয়কারী বিপ্লব খাঁন, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, প্রচার সম্পাদক শুভ দেব, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ফারহানা মুনা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান এবং ফতুল্লা থানার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আল মামুন।
বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রকে জনগণের জন্য পুনর্গঠনের লড়াই ছাড়া ভবিষ্যতে এদেশে নিরাপত্তা বা অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তারা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।