ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৬০ জন দগ্ধ হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে এফ-৭ বিজেআই মডেলের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিকট শব্দে ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, অনেক শিক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতদের চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিট, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এবং মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ—এই হাসপাতালগুলোতে রক্তদানে আগ্রহীদের দ্রুত যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, আহতদের অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো নতুন রোগী আসছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনার সময় মাইলস্টোন কলেজের প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণির ক্লাস চলছিল বলে জানিয়েছেন কলেজটির জনসংযোগ কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে শিক্ষকরা দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিমানটি কলেজ চত্বরে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন মাইলস্টোন কলেজের এক কর্মকর্তা।
বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানে শুধু পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর ছিলেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলে ভিড় না করে উদ্ধারকাজে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।