নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী কাউছারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক হুমায়রা তাসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাউছার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালবেলা শাশুড়ি রাশিদা বেগম ও তার ছেলে ইমদাদুল হক কাঁচপুরে মেয়ে লাভলী বেগমের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। বিকেলে ইমদাদুল বাইরে গেলে লাভলী ও তার স্বামী কাউছারের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়।
একপর্যায়ে শাশুড়ি মেয়ের পক্ষ নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কাউছার ঘরের দরজা বন্ধ করে প্রথমে স্ত্রী লাভলী বেগমকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর মেয়েকে রক্ষা করতে ছুটে আসা রাশিদা বেগমকেও একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করে সে।
এলাকাবাসী তাৎক্ষণিকভাবে কাউছারকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরদিন নিহত লাভলীর ভাই ইমদাদুল হক সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মোট ১১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মৃত্যুদণ্ডসহ অন্যান্য সাজা প্রদান করেন।