মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে সূচনা করা হয়। এরপর বক্তব্যে অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা ৩৬ জুলাইয়ের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া করা হয় এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও উপহার তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “দীর্ঘ দেড় দশকের জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে এ দেশের দেশপ্রেমিক জনতা ও তরুণ ছাত্রসমাজ তাজা রক্ত ঢেলে যে ইস্পাতকঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, আমরা সেই ঐক্য ধরে রাখতে চাই। শহীদরা যে কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নে আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। তাদের ত্যাগের ঋণ আমাদের শোধ করতেই হবে। আমরা চাই একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে, যেখানে শোষণ-নিপীড়নের কোনো স্থান থাকবে না। যারা গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের সম্মিলিত চেষ্টাতেই আমরা সেই রাষ্ট্র গঠন করতে পারবো।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—জেলা পুলিশ সুপার প্রতুষ্য কুমার মজুমদার, সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জের মুফতি মাসুম বিল্লাহ, এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু এবং ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা।
অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।