সারা দেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সি শিশু ও কিশোরদের জন্য আয়োজিত টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সহকারীদের চলমান আন্দোলনের কারণে পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি স্থগিত করে ১২ অক্টোবর থেকে কর্মসূচি শুরু হবে।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ব্যবস্থাপক আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন, আন্দোলনের কারণে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নষ্ট হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার নেওয়া হয় এবং রোববার সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।
তিনি জানান, দেশের প্রায় ৫ কোটি শিশু ও কিশোর বিনা খরচে এই টিকা পাবেন। কর্মসূচি মোট ১৮ দিন চলবে; প্রথম ১০ দিন স্কুলভিত্তিক ক্যাম্পে এবং শেষ ৮ দিন নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে।
শাহাবুদ্দিন খান আরও বলেন, “টিকাটি এক ডোজের ইনজেকশন হিসেবে দেওয়া হবে এবং এটি ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা প্রদান করবে। টিকাগুলো গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে এবং ভারতের তৈরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী এগুলো শতভাগ পরীক্ষা করা হয়েছে।”
রেজিস্ট্রেশন করতে https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে জন্ম তারিখ এবং ১৭ অঙ্কের জন্ম নিবন্ধন নম্বর (ইংরেজিতে) দিতে হবে। এরপর লিঙ্গ নির্বাচন এবং ক্যাপচা পূরণ করতে হবে।
পরবর্তী ধাপে মা-বাবার মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে) ও বর্তমান ঠিকানা দিয়ে তথ্য জমা দিতে হবে। মোবাইলে পাঠানো ওটিপি কোড ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশনের সময় ‘টাইফয়েড টিকা’ নির্বাচন করে স্কুলভিত্তিক বা বহির্ভূত কেন্দ্র বেছে নিতে হবে। স্কুলভিত্তিক হলে স্কুলের নাম, ঠিকানা, শ্রেণি, থানা, ওয়ার্ড ও জোন পূরণ করে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে। বহির্ভূত ক্ষেত্রে নিকটস্থ কেন্দ্র বেছে নেওয়া যাবে।
রেজিস্ট্রেশন শেষে অনলাইনে ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিতে হবে। নির্ধারিত দিনে এই কার্ড সঙ্গে নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। টিকা নেওয়ার পর অনলাইনে সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে, যা সংরক্ষণ করা যেতে পারে।