বন্দরে ডাকাত দলের এক সদস্য নিজের ছোঁড়া হাত বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন এবং দুইজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় জনতা ও নৌ-পুলিশের সক্রিয় পদক্ষেপে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৬ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টার দিকে মো. জামাল নামে একজন ট্রলার চালক কাঠবডি ট্রলার নিয়ে আনন্দ বাজার (সোনারগাঁ) থেকে মেঘনা থানার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মেঘনা নদী থেকে স্পীডবোটে করে আসা ১০–১২ জনের একটি ডাকাতদল তার ট্রলার ছিনতাই করে। ডাকাতরা মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার হোসেনদী ইউনিয়নের ভাটী বলাকী এলাকায় নোঙর করে ডাকাতি চালানোর চেষ্টা করে।
নদীতে উপস্থিত স্থানীয় জেলেরা ডাকাতদের বাধা দিলে গ্রামবাসী ধাওয়া করে। পাল্টা উত্তরে ডাকাতরা ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় ডাকাতরা কলাগাছিয়া এলাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের চর কিশোরগঞ্জে প্রবেশ করে। তখন ভাটী বলাকী, কলাগাছিয়া ও চর কিশোরগঞ্জ এলাকার জনতা তাদের ঘিরে ফেলে।
ডাকাত দলের ৬–৭ জন সদস্য স্পিডবোটে পালিয়ে গেলেও ট্রলারে থাকা তিনজনকে স্থানীয়রা ঘিরে ফেলেন। খবর পেয়ে কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি, জেলেদের নৌকা ও স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া চালায়। ডাকাতদল ৩টি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও, নৌ-পুলিশ ও জনতার তৎপরতায় তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ৩টি ককটেল বোমা ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়।
নিহত ডাকাত সদস্য চাঁন মিয়া, শরিয়তপুর জাজিরার বাসিন্দা। বিস্ফোরণে তার ডান হাতের কব্জি ছিন্ন হয়ে গেলে হাসপাতালে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহতরা হলেন: ডাকাতদের মধ্যে মাসুম ও একজন অজ্ঞাত, এবং স্থানীয়রা ট্রলার চালক জামাল, ইসহাক বেপারীর ছেলে আলম ও রাসেলের ছেলে সোহাগ। মোট ৫ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের সাহসী ভূমিকা এবং নৌ-পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ডাকাতি ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।