বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেওলী চৌরাপাড়া এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে দুই পক্ষের মোট ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজন টেটাবিদ্ধ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:
বক্তারকান্দী এলাকার মৃত আঃ সালাম মিয়ার ছেলে আসলাম (৪২)
একই এলাকার আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে ফয়েজ (৩০)
একই এলাকার আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে মাকসুদ (৩০)
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমুলপাড়া মৃত আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়া (৪০)
গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত পৃথক দুইটি মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
জানা গেছে, সংঘর্ষের পেছনে মূল কারণ ছিল স্থানীয় কয়েকজন বিবাদীর চাঁদাবাজি ও বাড়ি নির্মাণে বাধা দেওয়া। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিবাদীরা — সাহিদ (৩২), নাহিদ (৩৪), নাদিম (৩৮), বাসেদ (৫৫), রোমান (৩২), জুয়েল (২৮), পারবেজ (৩০), আল রেখা(৩০), মাহবুব (৩২), সুমন (৩৫) — ভুমি দস্যু ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ। বাড়ি মেরামতের সময় তারা চাঁদা দাবি করে, চাঁদা না দেওয়ায় বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি দেয়।
গত রোববার বিবাদীরা নির্মাণাধীন ঘরে বাঁধা দেয় এবং হুমকি প্রদান করে। এর সূত্র ধরে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে দফা দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে থামানোর পর চলে গেলে বিবাদীরা পুনরায় দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
আহতদের মধ্যে শিরিন, জুবায়ের, আ: মালেক, রুহুল আমিন, ওমর ফারুক মাকসুদ, আমির হোসেন, রিনা বেগম ও রুনা আক্তার রয়েছেন। অপর গ্রুপের পারভেজ, বাসেদ ও নাদিমও জখম হয়।
এই ঘটনায় দুই পক্ষের বাদী আসমা আরেফিন ও জিয়াসমিন বেগম পৃথকভাবে থানায় মামলা দায়ের করেন। আসমা আরেফিন ১৫ জনকে নাম উল্লেখ করে ও ১৫–২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-৪২(৯)২৫)। জিয়াসমিন বেগম প্রতিপক্ষের ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে একই থানায় অপর মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৪৩(৯)২৫)।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে এবং পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”