বন্দর উপজেলার হরিবাড়ী এলাকায় কাপড় ব্যবসায়ী সজিব মাহমুদের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় ১০–১২ জনের একটি অজ্ঞাতনামা ডাকাত দল রাতের অন্ধকারে ব্যবসায়ী পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ লুট করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে ডাকাত দল মুখে কালো কাপড় বাধা অবস্থায় ব্যবসায়ী সজিব মাহমুদের বাড়ির মেইন গেইট এবং ঘরের দরজা খোলা পেয়ে প্রবেশ করে। হামলাকারীদের একজন মহিলা সদস্য প্রথমে ব্যবসায়ীর মায়ের চুল ধরে টেনে মেঝেতে ফেলে। এরপর অন্যান্য সদস্যরা ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে মারধর করে এবং চিৎকার করার চেষ্টা প্রতিহত করে।
ডাকাতরা ব্যবসায়ীর মায়ের হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এবং স্ত্রীর মুখে কাপড় বাধিয়ে লকারের চাবি দিতে বাধ্য করে। ডাকাতদল লকার খুলে বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ লুট করে নিয়ে যায়। লুট করা মালামালের মধ্যে রয়েছে:
২টি স্বর্ণের চেইন (ওজন ১ ভরি ১২ আনা), মূল্য প্রায় ৩,৫০,০০০ টাকা
৬টি স্বর্ণের আংটি (ওজন ২ ভরি), মূল্য প্রায় ৪,০০,০০০ টাকা
১টি গলার নেকলেস (ওজন ১ ভরি), মূল্য প্রায় ৪,০০,০০০ টাকা
৩ জোড়া কানের দুল (ওজন ১ ভরি), মূল্য প্রায় ২,০০,০০০ টাকা
১টি ডায়মন্ড নাকফুল, মূল্য ১৫,০০০ টাকা
নগদ ৪,১০,০০০ টাকা
২টি মোবাইল (মোটরোলা ও রেডমি), মূল্য প্রায় ৩৬,০০০ টাকা
এ ঘটনায় সজিব মাহমুদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ১০–১২ জনের অজ্ঞাতনামা ডাকাতকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪১(৯)২৫, ধারা: ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড ১৮৬০।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, “মামলা দায়েরের পর থেকেই লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই কয়েকটি সম্ভাব্য সূত্র যাচাই করা হচ্ছে।”
স্থানীয়রা জানায়, এই ধরনের হামলা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতার মধ্যেই দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার এবং লুটপাটের মালামাল উদ্ধার করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।