নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদুজ্জামান মাসুদ দাবি করেছেন, তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তার অভিযোগ, বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই ওই মহল তাকে বিতর্কিত করতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ভুয়া মামলা দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
মাসুদ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য কিছু ব্যক্তি ৩০ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। তাদের ১৫ লাখ টাকা আগেই পরিশোধ করা হয়েছে। বিএনপির একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার এই চক্রটিকে ব্যবহার করছে, যাতে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করে দল আমাকে মনোনয়ন না দেয়।”
তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট চক্রের এক সদস্য নিজেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জানান। পরে তারা মাসুদের অফিসে এসে পুরো পরিকল্পনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। মাসুদের ভাষ্যমতে, “ওই চক্রটি জানায়, মামলা করার পর ১ হাজার লোক নিয়ে তারা বিএনপির ঐতিহ্যবাহী একটি পরিবারের পক্ষে কেন্দ্রে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাবে, যেন আমি মনোনয়ন না পাই।”
দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমি সবসময় দলের কঠিন সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-নিপীড়নের সময় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছি। তাই দলের প্রতি আমার অবিচল আনুগত্য রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকুসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ আরও বলেন, “যত বাধা বা ষড়যন্ত্রই আসুক, আমি বিএনপির রাজনীতিতে আছি এবং থাকব। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ, বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ, আর তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বই আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি সমাজসেবার কাজ করেছি, মানুষের পাশে থেকেছি। নারায়ণগঞ্জবাসী আমাকে চেনে, তাই জনগণই আমার শক্তি। দল আমাকে মনোনয়ন দিক বা না দিক, আমি সবসময় বিএনপির সঙ্গে থাকব।”